স্বদেশ ডেস্ক:
কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে নতুন করে লোকালয়ে পানি ডুকছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বালিঙ্গা এলাকায় কুশিয়ারা নদীর নতুন করে দুটি স্থানে ডাইক ভেঙে গেছে। এতে শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
নতুন করে আরো আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে সব মিলিয়ে ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ৩০০টি পরিবার। আশ্রয় পরিবারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে আশঙ্কাজনক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়।
পাউবো জানায়, কুশিয়ারা নদীর পানি এতদিন ধীরে বাড়ছিল। রোববার থেকে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বাড়তে শুরু করে। এতে শুরু হয় বাঁধের ভাঙন।
কুশিয়ারা তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ডাইক ভাঙনে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার সুরমা নদী তীরবর্তী আলীনগর ও চারখাই ইউনিয়ন এবং কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা এবং সোনাই নদী তীরবর্তী তিলপাড়া, মোল্লপুর, লাউতা ও মুড়িয়া ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হচ্ছে।
বন্যাকবলিত চারখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ চৌধুরী বলেন, কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি আরো বেড়েছে। আমার ইউনিয়নে কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ডাইক ভেঙে শতভাগ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী এবং রাতে ডাইক ভাঙনে পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে, আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, আমরা জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো ত্রাণ বিতরণ করছি। তবে এই দুর্যোগের সময়ে আমি প্রবাসী ও বিভিন্ন সংগঠনকে আহ্বান করছি বন্যাকবলিত মানুষের পাশে থাকতে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক নূর বলেন, উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ বাড়ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে কাল থেকে আজ আরো ভিড় বাড়ছে। আমরা সরকারি খাবার বিতরণ করছি, যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।